পরিশ্রমী পেশাদারী ব্যক্তি হিসেবে খুব সম্ভবত আপনি আপনার বেশিরভাগ সময় বিনিময় করতে এবং অফিসে কাটান। এত কাজের ফাঁকে আপনার নিজের জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে, যা আপনার কাছে ধীরে ধীরে বড় আকৃতি ধারণ করে, আর আপনি তা কিছুতেই হতে দিতে পারেন না।
চলুন দেখে নিই আপনার ব্যস্ত পেশাদারী জীবনে আপনি নিজেকে কিভাবে ফিট রাখবেন।
যান্ত্রিক জীবনে আমরা সবাই ব্যস্ত। কিন্তু এই ব্যস্ততার মাঝেই আমাদের ফিট থাকতে হবে। কাজের চাপে আমাদের অনেকের হয়ত অল্প বয়সে নানা রকম রোগের লক্ষণ দেখা দেয়, শরীর ভেঙে পড়ে, তাই আপনাকে ফিট থাকতে হলে উপরের সাতটি টিপস ফলো করুন।
চলুন দেখে নিই আপনার ব্যস্ত পেশাদারী জীবনে আপনি নিজেকে কিভাবে ফিট রাখবেন।
১. অফিসের কাছাকাছি জিমে যেতে পারেন
আপনি ভাগ্যবান যদি আপনার অফিসের কাছাকাছি কোন জিমনাগার থাকে, তাহলে জিমকে আপনার দৈনন্দিন কাজের একটি অংশ হিসেবে বেছে নিন। কোন অজুহাত ছাড়াই প্রতিদিন এক ঘন্টা ব্যায়াম করুন।২. আপনার যাতায়াতকে ফিটনেস কার্যে পরিণত করুন
আপনি যদি আপনার অফিসের কাছাকাছি থাকেন তাহলে আপনি অফিসে হেটে যেতে পারেন বা সাইকেল চালিয়ে যেতে পারেন। অন্তত পক্ষে মাসে এক সপ্তাহের জন্য ড্রাইভিং বা বাসে চড়া ভুলে যান। এইভাবে আপনার যাতায়াতকে আপনার দৈনন্দিন ফিটনেস কার্যে পরিণত করুন।৩. লাঞ্চের সময়কে কাজে লাগান
লাঞ্চ ব্রেক মানে আপনি সারাক্ষণ রেস্টুরেন্টে থাকবেন এমন তো কথা নয়, আপনি আপনার লাঞ্চ ব্রেককে আপনার এক্সারসাইজের সময় হিসেবে নিতে পারেন। লাঞ্চ করার একটু আগে আপনি কোন জিমে যেতে পারেন বা কোন পার্কে যেয়ে হাটতে পারেন বা কাছাকাছি কোন ইয়োগাতে জয়েন করতে পারেন। তারপর আপনি আপনার ডেক্সে লাঞ্চ করে নিবেন।৪. অফিসেই হালকা ব্যায়াম করতে পারেন
আপনি নিজেই অবাক হবেন যে প্রতি ঘণ্টায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনি যদি ৫ থেকে ১০ মিনিট এক্সারসাইজ করেন তাহলে এইটা আপনার কত উপকারে আসতে পারে। কয়েক মিনিট জোরে জোরে শ্বাস নিন আর ফেলুন, আবার আপনি কয়েক মিনিট উঠ বস, পুশ আপ করতে পারেন। এতে আপনি সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারবেন।৫. সব সময় সিড়ি ব্যবহার করুন
আপনার যখনই প্রয়োজন আপনি অফিসের ভেতরে ঢুকছেন বা বাহিরে যাচ্ছেন তখন আপনি সিড়ি ব্যবহার করুন। এতে করে আপনি আপনার পা কে কার্যে পরিণত করছেন এবং এইটা আপনার জন্য একটি মহান কার্ডিয়ো।৬. অফিসে বন্ধুদের সাথে জিমে যেতে পারেন
আপনি নিজেকে মটিভেট করতে চান তাহলে এমন একটি বন্ধু খুঁজুন যে কিনা অফিসের পাশাপাশি বাহিরেও আপনার সাথে জিমে জয়েন করতে সম্মত হয়। এইটাকে আপনার দৈনন্দিন উদ্দেশ্যে পরিণত করুন এবং একে অপরকে মটিভেট করুন।৭. সকল অজুহাতকে না বলুন
এইটা অনেক বড় একটা কঠিন কাজ, কিন্তু এইখানে আপনাকে সামান্য পরিমাণে স্বার্থপর হতে হবে শুধুমাত্র আপনার ফিটনেসের জন্য। কাজে দেরি হচ্ছে কিন্তু জিমে যাওয়া বন্ধ করবেন না কাজের পরে। খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠুন হালকা জগিং করার জন্য। এইটা আপনার কাছে খুব কঠিন হতে পারে খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠাকে প্রতিদিনের একটি কাজে পরিণত করা, কিন্তু আপনার ফিটনেসের জন্য এইটাই জরুরি।যান্ত্রিক জীবনে আমরা সবাই ব্যস্ত। কিন্তু এই ব্যস্ততার মাঝেই আমাদের ফিট থাকতে হবে। কাজের চাপে আমাদের অনেকের হয়ত অল্প বয়সে নানা রকম রোগের লক্ষণ দেখা দেয়, শরীর ভেঙে পড়ে, তাই আপনাকে ফিট থাকতে হলে উপরের সাতটি টিপস ফলো করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।