সস্তা এবং ভালো খাবার যা আপনার কিডনি সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে

বর্তমানে কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। বিশ্বজুড়ে ব্যাপকহারে বেড়ে চলছে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিবছর অনেক নারী এবং পুরুষ এই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এই ধরনের রোগের চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই আমাদের শরীরের দুটি কিডনির যত্ন নেয়া উচিত।

আজকে আমরা এমন কিছু খাবার জেনে নিব যে খাবারগুলো নিয়মিত খেলে আপনার দু্টি কিডনির স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

যেসব খাবার কিডনি সুরক্ষা করে ও রোগ মুক্ত রাখে

১. বাধাকপি
বাধাকপিতে এতে আছে ফাইটোকেমিক্যালস, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে এবং আঁশ এবং ফলিস এসিড। এই সবগুলো ভিটামিনের উপাদানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির মেরামত এবং কিডনিকে সচল রাখতে সহায়তা করে।

২. বিভিন্ন প্রকারের মাছ
মাছে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা দেহের প্রদাহ কমায় এবং আপনার কিডনিকে সুরক্ষা রাখে। যাদের কিডনিতে ছোটখাটো সমস্যা হয় তাদের বেশি বেশি মাছ এবং মাছের তেল খাওয়া উচিত।

৩. বিশুদ্ধ খাবার পানি
পানির অপর নাম জীবন এবং নিশ্চিতভাবে বলা যায় কিডনির জন্য পানি অলৌকিক ঔষধ হিসাবে কাজ করে। একজন পুরুষদের প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস এবং মহিলাদের ৮-১০ বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। নিয়মিত পানি পান করলে কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনা খুব কমে যায়।

৪. রসুন
রসুনে আছে পঁচনরোধী এবং জমাটরোধী কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যা কার্যকরভাবে মানবদেহের বিভিন্ন কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে। রসুন কিডনিকে ক্ষতিকর নানা ধাতব পদার্থের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।


৫. ডিমের সাদা অংশ
ডাক্তারগন কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ ডিমের সাদা অংশে ভালো মানের প্রোটিন বেশি থাকে এবং ক্ষতিকর ফসফরাসের পরিমাণ কম থাকে। এছাড়া ডিমের সাদা অংশে অ্যামাইনো এসিড থাকে যা কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তবে বড় ধরনের কিডনির রোগ হলে ডিমের কুসুম একরবারেই না খাওয়াই ভালো।

৬. আপেল
আপেল শরীরের কোষ্ঠ্য কাঠিন্য দূর করে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এছাড়া আপেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা পঁচনরোধী উপাদান এবং বিভিন্ন ভিটামিন যা কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া রক্তে ভালো কোলোস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আপেল প্রশ্রাব পরিষ্কার রাখতেও বেশ কার্যকর ভুমিকা রাখে।

৭. লাল ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকাম সবজিতে পটাশিয়াম কম থাকে, কিন্তু উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ, বি, সি এবং বি৬ আছে। এই সবজিটি ফলিক এসিড এবং ফাইভারের খুব ভালো উৎস। ক্যাপসিকামের সকল উপাদানই কিডনিকে সচল রাখার জন্য জরুরি।

৮. পেঁয়াজ
পেঁয়াজ আমাদের প্রতিদিনের খাবারের একটি অংশ। এতে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা পঁচনরোধী উপাদান থাকে যা কিডনিকে দূষনমুক্ত করে এবং পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজে পটাশিয়াম, ক্রোমিয়াম কম থাকে। ফলে পেঁয়াজ চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটস হজমে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে।

৯. বেরি
বেরিতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইভার এবং ফোলেট। বেরি বলতে স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরি, রাস্পবেরি এবং ব্লুবেরি ইত্যাদি খাবার। বিভিন্ন ধরনের বেরিতে আছে প্রদাহরোধী এবং পঁচনরোধী প্রাকৃতিক উপাদান যা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমের উন্নতিতে সাহায্য করে।

১০. অলিভ অয়েল
আমরা সকলেই জানি অলিভ অয়েল হার্টের জন্য খুব ভালো তেল। পাশাপাশি অলিভ অয়েল কিডনির জন্যও উপকারী। অলিভ অয়েলে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রদাহরোধী ফ্যাটি এসিড যা ছোটখাটো কিডনির প্রদাহ কমিয়ে কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে। খাবারের সালাদে বা রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

আর্টিকেলটির মূল উৎস: ShineMat.com

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)

নবীনতর পূর্বতন