সাইবার হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে গুগলের বিশেষ প্রোটেকশন

তথ্য প্রযুক্তির সেক্টর যতই উন্নত হচ্ছে তার পাশাপাশি সাইবার হ্যাকাররাও প্রতিদিন নতুন রাস্তা বের করছে তাদের প্রতারণার জন্য। বিভিন্ন ভাবে অনলাইন ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কৌশলে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারন মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য এবং অর্থ। হ্যাকাররা পরবর্তীতে এইসকল ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করে নিচ্ছে।


তাই বিভিন্ন টেক জায়ান্টরা তাদের সিকিউরিটি সিস্টেম আরো শক্তিশালী করে তুলছে। এরই ধারাবাহিকতাই গুগল কোম্পানি তাদের সিকিউরিটি সেটিংসে এনেছে আরো শক্তিশালী সুরক্ষা। মাত্র ছোট্ট একটি সেটিংস পরিবর্তন করেই আপনি সাইবার হ্যাকারদের আক্রমণ এবং তাদের ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

কিভাবে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে সেফ ব্রাউজিং মোড চালু করবেন?

গুগলের সকল অনলাইন সেবাতে রয়েছে হ্যাকার এবং ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পাওয়ার অনেক আধুনিক ফিচার। যেগুলো ব্যবহার করে আপনার ডিজিটাল ডিভাইসের সকল তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোমের এই সিকিউরড ফিচারটির নাম সেফ ব্রাউজিং মোড। এই বিশেষ সিকিউরড মোড সক্রিয় করার পরে, গুগল ক্রোম ব্রাউজার সকল বিপজ্জনক ওয়েবসাইটের তালিকাগুলো ইউজারদের সামনে পরিদর্শন করার আগে পরীক্ষা করে নেয়।


সেফ ব্রাউজিং মোডটি বিপজ্জনক সাইটগুলো শনাক্ত করতে পারে এবং ব্যবহারকরীদের অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে যাতে করে তাদের ডিভাইসের তথ্য, ই-মেইল এবং বিভিন্ন পাসওয়ার্ডের ডেটা সুরক্ষিত থাকে। সেফ ব্রাউজিং মোড ডিফল্টভাবে সকল ওয়েবসাইটের লিংক চেক করে। যদি কোনো ম্যালওয়্যার বা খারাপ লিংক হয়ে থাকে তবে তাৎক্ষনিক এটি ব্যবহারকারীরকে সেই সম্পর্কে সতর্ক বার্তাও পাঠায়।

কিভাবে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে সেফ ব্রাউজিং মোড চালু করবেন?

• প্রথমে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে গুগল ক্রোম ব্রাইজার অ্যাপটি ওপেন করুন।
• এরপর উপরে ডান কোণে থাকা থ্রি-ডট বিন্দুতে ক্লিক করে সেটিংস অপশনটিতে ক্লিক করুন।
• সেখান থেকে সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি অপশনটিতে ক্লিক করলে তিনটি সিকিউরিটি মোডের অপশন দেখতে পারবেন।

১. নো প্রোটেকশন
২. স্ট্যান্ডার্ড প্রোটেকশন, এবং
৩. এনহ্যান্সট প্রোটেকশন

• এখন ব্যবহারকারীকে এনহ্যান্সট প্রোটেকশন মোড অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। ব্যাস, এবার আপনার কাজ শেষ। এখন থেকে গুগল তাদের সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করে আপনাকে নিরাপদে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সুবিধা দিবে।

আশা করি এই টিপসটা আপনাদের ভাল লেগেছে। অনুগ্রহ করে পোস্টের নিচে শেয়ার এবং কমেন্ট করবেন। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আর্টিকেলটির মূল উৎস: ShineMat.com

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)

নবীনতর পূর্বতন