হিলি বন্দরে পেঁয়াজের মূল্য পতন। আমদানি বাড়ায় ক্রেতাদের মুখে হাসি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজের দামে উল্লেখযোগ্য কমতি এসেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা কমেছে। আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০-৯৫ টাকা, যা এখন কমে ৭০-৭৫ টাকায় নেমে এসেছে।


হিলি বন্দরে পেঁয়াজের দাম কমানোর কারণ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি

আমদানি বৃদ্ধির কারণ

হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হেলাল উদ্দিন জানান, ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় সেখানে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে, যা হিলি বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানিকে উৎসাহিত করেছে। এছাড়া, ভারতে রফতানি শুল্ক এবং বাংলাদেশে আমদানি শুল্ক কমানোর ইতিবাচক প্রভাবও এই দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

বর্তমানে প্রতিদিন ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজ ভারত থেকে হিলি বন্দরে আসছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এই সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আগামী দিনগুলোতে দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে আমদানি আরও বাড়লে পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে।

ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মেহেদুল ইসলাম বলেন, "পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে এসেছে, যা আমাদের জন্য স্বস্তির ব্যাপার। তবে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি দাম আরও কমাতে সরকারের উচিত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।"

আমদানির পরিসংখ্যান

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত তিন কর্মদিবসে মোট ১ হাজার ৮৮২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এই আমদানি বৃদ্ধি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়িয়েছে, যা দাম কমাতে সাহায্য করছে।


পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ক্রেতা থেকে শুরু করে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। তবে স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর মাধ্যমে ভবিষ্যতে পেঁয়াজের দাম আরও স্থিতিশীল রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)

নবীনতর পূর্বতন