বাকিতে কিছু বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে কি সুদ হবে? বিস্তারিত জানুন

বাকিতে পণ্য বিক্রি করা আজকাল খুবই সাধারণ একটি প্রথা। বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বাকিতে পণ্য বিক্রি করে থাকেন। তবে এ ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন প্রায়ই উঠে আসে: বাকিতে পণ্য বিক্রির সময় নগদ মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নেওয়া হলে, তা কি সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে? এ বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি কী?


বাকিতে পণ্য বিক্রি জায়েজ কি না, ইসলামে বাকিতে বেশি দামে বিক্রির বিধান

ইসলামী শরীয়তের আলোকে বাকিতে পণ্য বিক্রি করা সম্পূর্ণ জায়েজ। নগদ মূল্যের চেয়ে বাকিতে বেশি দাম নেওয়াও বৈধ, তবে কিছু শর্ত রয়েছে। প্রথমত, বেচাকেনার সময়ই মূল্যের পরিমাণ এবং পরিশোধের মেয়াদ স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে নিতে হবে। অর্থাৎ, ক্রেতা যদি পণ্যটি কিস্তিতে কিনতে চান, তাহলে কত মাসে কত টাকা পরিশোধ করবেন, তা চুক্তির সময়ই ঠিক করে নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চুক্তি সম্পাদনের পর মূল্য বা মেয়াদ পরিবর্তন করা যাবে না। যদি ক্রেতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে বিক্রেতা মূল্য বাড়ানোর কোনো অধিকার রাখেন না। পূর্বে নির্ধারিত মূল্যই বহাল থাকবে। মূল্য বৃদ্ধির শর্ত থাকলে তা সুদি কারবারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে, যা ইসলামে হারাম।

অনেক সময় ব্যবসায়ীরা না জেনে বা ভুলবশত এমন শর্ত যুক্ত করে ফেলেন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। যদি কোনো ব্যবসায়ী এভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকেন, তাহলে তার কর্তব্য হলো সেই টাকা ক্রেতাকে ফেরত দেওয়া। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে ওই টাকা গরিব-মিসকিনদের মধ্যে সদকা করে দিতে হবে এবং আল্লাহর কাছে তাওবা ও ইস্তিগফার করতে হবে।


সুতরাং, বাকিতে পণ্য বিক্রি জায়েজ হলেও তা শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থাকতে হবে। মূল্য ও মেয়াদ চুক্তির সময়ই নির্ধারণ করতে হবে এবং পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না। এভাবে ব্যবসা পরিচালনা করলে তা হালাল ও উত্তম পন্থায় সম্পন্ন হবে।

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই পোস্টটির সম্পর্কে আপনার মতামত, প্রশ্ন অথবা কিছু জানতে বা জানাতে চাইলে অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মন্তব্যটি লিখুন।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)

নবীনতর পূর্বতন